রাশিয়ায় তথ্য পাচারের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে এক জার্মান সেনা কর্মকর্তাকে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ–এর কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়েসি ওই সেনা কর্মকর্তার বিচার অনুষ্ঠিত হবে জার্মানির ডুসেলডর্ফের উচ্চতর আঞ্চলিক আদালতে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই কর্মকর্তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ঘটনার সঙ্গে পরিচিত এক সূত্র জানিয়েছে, ডুসেলডর্ফের নিকটবর্তী এর্করাথ এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরের তথ্য রাশিয়ায় পাচার করে আসছিলেন। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, পাচার করা তথ্য ও নথিপত্রের অধিকাংশই সাধারণ তথ্য হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাচার করা হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত ওই সেনা কর্মকর্তার বিষয়ে মামলার কৌঁসুলিরা ‘রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীলতার’ প্রমাণ পেয়েছেন। তবে তাঁরা এখনো কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে পারেননি। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত পরিচালনা করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হওয়ার কারণ হলো—ওই সেনা কর্মকর্তাকে রুশ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় রাশিয়ায় ডেকে নিয়েছেন অফিশিয়াল পরিদর্শনের অছিলায়।
এদিকে, আদালতের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন—অভিযুক্ত এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের একাংশ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।