অনলাইন ডেস্ক
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে কতজনের প্রাণহানি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ভোর থেকে এই লড়াই শুরু হয় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এর মধ্য দিয়ে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের পুরোনো সংঘাত আবারও সামনে এল।
২০২০ সালে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিল আজারবাইজান। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সেনা নিহতের কথা স্বীকার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে আর্মেনিয়া নিজেদের সেনা হতাহতের কথা জানায়নি। সংঘাত শুরুর জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করছে দেশটি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে। ব্লিনকেন উভয় পক্ষকে বিরোধিতা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সংঘাতের জন্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া একে অপরকে দোষারোপ করছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকটি অবস্থান, আশ্রয়কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনা আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে। হামলায় ড্রোন, মর্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাদের সীমান্তে আর্মেনীয় সেনারা গুপ্তচরবৃত্তি ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে। স্থানীয় ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি দেশটির।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত থাকার সময় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে প্রথম দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। এরপর কয়েক যুগ ধরেই লড়ছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। দীর্ঘ এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সবশেষ ২০২০ সালে ছয় সপ্তাহের সংঘাতে ৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি নিহত হয় এবং আজারবাইজান নাগোরনো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই যুদ্ধ শেষ হয়।