ঢাকা: আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ থেকে ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিশু-কিশোরদের করোনা টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল এই ঘোষণা দেন।
তবে টিকা নিতে শিশুদের বাধ্য করা হবে না জানিয়ে মেরকেল বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া এবং শিশুদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে না।
১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য আজ শুক্রবার ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। ইইউ’তে এই টিকাটি ১৬ ও এর বেশি বয়সীদের জন্য বর্তমানে অনুমোদিত রয়েছে।
জার্মানির আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার মেরকেল বলেন, আগামী ৭ মে থেকে ১২ ও এর বেশি বছর বয়সী শিশু ও কিশোররা টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, আগ্রহীদেরকে আগস্ট মাসের মধ্যেই কমপক্ষে প্রথম ডোজটি দেওয়া সম্পন্ন করা হবে। মোটামুটিভাবে স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদেরকে মেরকেল বলেন অভিভাবকদের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে যে: এটা বাধ্যতামূলক কোনো টিকাদান কর্মসূচি নয়।
স্কুলে আসার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় জানিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে বলবে না। এ ছাড়া টিকা নেওয়া শিশুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা চিন্তা করা পুরোপুরি ভুল ধারণা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় এরই মধ্যে ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিশু-কিশোরদের করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
তবে শিশুদের ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের মত দিয়েছেন। তাঁদের মতে, শিশুরা করোনা গুরুতর অসুস্থ হয় না। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংকট থাকায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের করা উচিত।