ইসলাম ও ইউরোপীয় সভ্যতার সহাবস্থানে সমস্যা রয়েছে বলে মন্তব্য করা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হয়েছে। তবে ঠিক কবে তিনি এমন মন্তব্য করেন—সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি ইউটিউবে প্রথম এ ভিডিওটি দেখা যায়।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গত শনিবার ইতালির রোমে মেলোনির ডানপন্থী দল আলট্রা কনজারভেটিভ ব্রাদার্স অব ইতালি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তাঁর এ ভিডিও নতুন করে নজরে আসে। ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও যোগ দিয়েছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে জর্জিয়া মেলোনিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিশ্বাস, ইসলামি সংস্কৃতি বা এর একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যার সঙ্গে আমাদের সভ্যতার অধিকার ও মূল্যবোধের সহাবস্থানে সমস্যা রয়েছে। এটা আমি মন থেকে সরাতে পারি না যে ইতালির বেশির ভাগ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সৌদি আরবের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।’
জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘শরিয়া মানে হলো ধর্মান্তর ও সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড এবং ব্যভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপ। আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত, তবে এর মানে ইসলামকে সাধারণীকরণ নয়। এর মানে হলো, এ সমস্যাটি উত্থাপন করা যে ইউরোপে ইসলামিকরণের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যা আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধ থেকে খুব দূরে।’
ঋষি সুনাক বলেন, ‘আমরা যদি এ সমস্যার (অভিবাসন) মোকাবিলা না করি, তবে এ সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। এ সমস্যা আমাদের দেশের ও প্রকৃত দুস্থ ও পীড়িতদের সাহায্য করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে।’
অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য জর্জিয়া মেলোনি ও ঋষি সুনাক আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।