স্পেন ও আলজেরিয়ার মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরে ‘উরসা মেজর’ নামে একটি রাশিয়ান কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের ফলে জাহাজটি ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দা গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাহাজের ১৬ ক্রুর মধ্যে দুইজন এখনও নিখোঁজ।
২০০৯ সালে নির্মিত ‘উরসা মেজর’ জাহাজটি ওবোরোনলোগিস্তিকা নামে একটি কোম্পানির মালিকানাধীন, যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহৃত হতো। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করা জাহাজটি দূরপ্রাচ্যের ভ্লাদিভস্তক বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। দুটি বিশাল ক্রেন ও নতুন আইস-ব্রেকারের যন্ত্রাংশ বহন করছিল জাহাজটি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল এস্পানোল জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত নাবিকদের স্পেনের কার্টাজেনা বন্দরে আনা হয়েছে। স্প্যানিশ নৌবাহিনী একটি জাহাজসহ বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজ নাবিকদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টার বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি। রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, স্পেনে রাশিয়ান দূতাবাস এই ডুবির কারণ তদন্ত করছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এই জাহাজটি আগে ‘স্পার্টা থ্রি’ নামে পরিচিত ছিল। যদিও এবারের যাত্রায় ভ্লাদিভস্তক যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে যাত্রার পরে এটি সিরিয়ার টারতুস বন্দরে ভিড়েছিল। ২০২২ সালে রাশিয়ার সামরিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই জাহাজটি ও এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওবোরোনলোগিস্তিকা এবং এসকে-ইউগ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে।
গত ২৩ ডিসেম্বর পাশ দিয়ে যাওয়া জাহাজ থেকে তোলা একটি ভিডিওতে উরসা মেজরকে ডান পাশে হেলে পড়া অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো। ভিডিওটিতে দেখা যায়, জাহাজের সামনের অংশ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ডুবে গেছে এবং ডেকে দুটি বড় ক্রেন বাঁধা। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি এই জাহাজটি ভ্লাদিভস্তক বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিলো।