অনলাইন ডেস্ক
গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে ভারতের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সিকিমে। টানা বর্ষণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলের লাচুং ও লাচেনসহ বেশ কয়েকটি শহরে। পাহাড়ি ধসে বন্ধ হয়ে গেছে বহু সড়ক। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বেইলি সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে আটকা পড়েছেন অন্তত দেড় হাজার পর্যটক।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
সিকিমে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীতে বেড়েছে পানি। এতে পশ্চিমবঙ্গ সেচ বিভাগ রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবার একজন সেচ কর্মকর্তা বলেছেন, ব্যারেজগুলো থেকে পানি ছাড়ার ফলে তিস্তার পানির স্তর বেড়েছে এবং এর ফলে জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তার উভয় পাশে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রশাসনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গনের অম্ভিথাং ও পাকশেপ গ্রামে ৩ জন করে মোট ৬ জন মারা গেছেন। প্রচুর বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকশেপে একটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
প্রশাসন বলছে, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়েছে তারা। কারণ দুর্গত জায়গাগুলো বন্যা ও ধসের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে অসুবিধা হচ্ছে।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং অবশ্য জানিয়েছেন, সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ এবং মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
এদিকে আগামী আরও দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে সেখানকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। গত বুধবার গ্যাংটকে ৬১ ও গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাভাংলাতে হয়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। আর মঙ্গন জেলাতে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।