অনলাইন ডেস্ক
স্লোভেনিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন উদারপন্থী সাংবাদিক-আইনজীবী নাতাশা পির্ক মুসার। স্থানীয় সময় গত রোববার তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে মুসার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, নির্বাচনের মোট ভোটের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার কাজ শেষ হয়েছে। আর এতে ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মুসার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানেঁ লগার পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
স্লোভেনিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লগার গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে থাকলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণের দিকে যায়। আর গত রোববার দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণের পর মুসার দারুণভাবে ফিরে আসেন। স্পষ্ট ব্যবধানে হারান লগারকে।
পেশায় সাংবাদিক-আইনজীবী মুসার স্লোভেনিয়ার প্রধান সংবাদ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ছিলেন। লুবজানাতে জন্মগ্রহণকারী পির্ক মুসার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার আগে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এবং সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া বিভাগ থেকে সাংবাদিকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ২০০৫ সালে স্লোভেনিয়ার তথ্য অধিকার কমিশনের কমিশনার হিসেবে নির্বাচিত হন। এ ছড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁর স্ত্রী স্লোভেনিয়া বংশোদ্ভূত মেলানিয়া ট্রাম্পের স্বার্থ রক্ষার জন্য পির্ক মুসারকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক। তবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই পির্ক মুসার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি নিজেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বরুত পাহোরের চেয়ে আলাদাভাবে উপস্থাপন করবেন। বরুত পাহোর তাঁর দুই মেয়াদে ১০ বছর প্রেসিডেন্ট থাকাকালে স্লোভেনিয়ার রাজনীতিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেননি বললেই চলে।