নাৎসি আমলের একটি গর্ভপাত আইন বিলুপ্ত করেছে জার্মানি। ওই আইনে বলা হয়েছিল, চিকিৎসকেরা গর্ভপাতে ইচ্ছুক নারীদের গর্ভপাতের ব্যাপারে কোনো তথ্য কাউকে দিতে পারবেন না। শুক্রবার জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেস্ট্যাগের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটির মাধ্যমে এই আইন বিলুপ্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আইন বাতিলের ফলে চিকিৎসকেরা এখন থেকে কোনো রকমের আইনের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই গর্ভপাতের তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন।
যদিও জার্মানিতে যেকোনো ধরনের গর্ভপাত অবৈধ। তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে গর্ভপাত করা সম্ভব। তবে গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এই গর্ভপাত করাতে হবে।
জার্মানির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো বুশম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রায় শত বছরের কাছাকাছি সময় ডাক্তারদের গর্ভপাতের ঝুঁকি, পদ্ধতির বিষয়ে কোনো তথ্য গর্ভপাতে ইচ্ছুক নারীদের কোনো তথ্য দিতে পারতেন না। দিলে তাদের বিচার এবং শাস্তির মুখোমুখি হতে হতো।’
মার্কো বুশম্যান আরও বলেন, ‘আজ এই আইন বিলুপ্ত করা মধ্য দিয়ে নারী এবং ডাক্তারদের ওপর থেকে অনাস্থার যুগ শেষ হলো।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালত নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করেছে। আজ শুক্রবার দেশটির আদালত ৫০ বছরের পুরোনো একটি আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালত। দেশব্যাপী গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া ১৯৭৩ সালের আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলেছে, ‘রাজ্যগুলো চাইলে এখন থেকে নিজেরাই গর্ভপাতের অনুমতি দিতে বা সীমাবদ্ধ করতে পারবে। সংবিধান গর্ভপাতের অধিকার প্রদান করে না। গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা জনগণ এবং তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এই রায়ের ফলে অনেক নারীই হারাতে পারেন গর্ভপাতের অধিকার। অনেক রাজ্যেই নিষিদ্ধ হতে পারে গর্ভপাত।