অনলাইন ডেস্ক
৩৩ বছর বয়সী নারী কেসনিয়া কারেলিনা থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। একটি পারিবারিক সফরে তিনি রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে সমর্থন করা একটি দাতব্য সংস্থাকে মাত্র ৫১ ডলার দান করেছিলেন কারেলিনা। এর ফলে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার একটি আদালত। ব্যালেরিনা নাচে অভিজ্ঞ এই নারীর আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে। গত সপ্তাহেই একটি বিশেষ আদালতে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছিলেন কারেলিনা। ২০২১ সালে তিনি মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরের ইয়েকাটেরিনবার্গে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন।
প্রসিকিউটররা কারেলিনার ১৫ বছরের জেল চেয়েছিলেন। তবে ইয়েকাটেরিনবার্গের আদালত তাঁকে উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করলেও একটি সাধারণ অপরাধের শাস্তি হিসেবে রায় দিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করা একটি সংস্থার হয়ে কাজ করার দায়ে ক্যারেলিনাকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়ার এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিস।
রাশিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের প্রথম দিনটিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় ৫১.৮০ ডলার স্থানান্তর করেছিলেন কারেলিনা। এফএসপি তাঁর মোবাইলে ওই লেনদেনটি আবিষ্কার করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারেলিনার আইনজীবী মিখাইল মুশাইলভ বলেছেন—কারেলিনা শুধু অর্থ স্থানান্তরের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ওই তহবিল উভয় পক্ষের ভুক্তভোগীদের সাহায্য করবে। সাজার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন রুশ গণমাধ্যমকে।