বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে এসেছে ওয়াগনার। দলটির প্রধান বেলারুশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, ওয়াগনারের স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের পর তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
সিএনএনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর মাইক লিয়ন্স (অব.)। তিনি বলেন, ‘ওয়াগনার একটি স্বাধীন ফাইটিং কোম্পানি। তাদের ভালো সুবিধা দেওয়া হত, আলাদা পোশাক ছিল তাদের। আমি মনে করি না যে তারা খুব সহজে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হবে। সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাই আমি মনে করি একটি সমস্যা হতে চলেছে।’
মাইক লিয়ন্স বলেন, ‘হয়তো কেউ কেউ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কেউ কেউ আবার সমস্যা করার চেষ্টা করবে, ইউক্রেনকে তারা তথ্য সরবরাহ করবে। কারণ তারা প্রিগোশিনের প্রতি অনুগত, দেশের প্রতি নয়, মিশনের প্রতি নয়। আমার মনে হয় আমরা অনেক কিছু দেখছি। আবার এমন অনেক প্রশ্ন আছে যার উত্তর এখনো নেই।’
এদিকে আরেক অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল পিটার জাওয়াক বলেছেন, ‘এটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দুটি অস্তিত্বের লড়াই চলছে। ওয়াগনার বস প্রিগোশিন বেলারুশের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আপাতত চুক্তি করলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর এটা মারাত্মক আঘাত।’
এ ছাড়া পিটার জাওয়াক রাশিয়ার রাস্তায় গত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ভূত ঘটনাগুলোকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে স্পষ্ট হলো ইউক্রেনে আক্রমণটি ভুল ছিল।’
প্রসঙ্গত, প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেবে রাশিয়া। রক্তপাত এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এক চুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওয়াগনারের যোদ্ধাদের চুক্তি হবে। এর ফলে গতকাল শনিবারের বিদ্রোহের কারণে তাঁদের কোনো সাজা হবে না। ওয়াগনার যোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য তাঁদের প্রতি ক্রেমলিনের সব সময়ই শ্রদ্ধা রয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মতিতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। কারণ তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে প্রিগোশিনকে চেনেন।
আরও পড়ুন: