তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। তিনি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের পাশের অঞ্চল কাহরামানমারাস, হাতায়ে ও পাজারসিক পরিদর্শন করবেন।
অনেকেই তুরস্ক সরকারের উদ্ধার তৎপরতার গতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর এরদোয়ান এ পরিদর্শন করলেন। কিছু লোক দাবি করেছেন, এখনো কোনো সাহায্য তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি।
আরজু দেদেওগ্লু নামের এক মহিলা গত রাতে দক্ষিণ তুরস্কের ইস্কেন্দেরুনের নুমুনে জেলায় বিবিসির এক প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের দুই মেয়ে আয়েসেগুল এবং ইলায়দা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছে। একদিন পার হলেও কোনো উদ্ধারকর্মী আসেননি। আমি নিশ্চিত, দুই বুকের মানিক আর বেঁচে নেই। উদ্ধারকর্মীরা কেন আগে এল না?’
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাক্যায় বেঁচে যাওয়া ৬৪ বছর বয়সী নারী মেলেক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘তাঁবুগুলো কোথায়, খাবারের ট্রাকগুলো কোথায়?’
আজ বুধবার রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘দেশে আগের দুর্যোগের মতো আমরা এখানে কোনো খাদ্য বিতরণ দেখিনি। আমরা ভূমিকম্প থেকে বেঁচে গেছি, কিন্তু আমরা এখানে ক্ষুধার্ত বা ঠান্ডার কারণে মারা যাব।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অনেকেই বলেছেন, ভূমিকম্পকবলিতদের উদ্ধারে সরকারের আগ্রহের কমতি রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে।