সুস্থ-সবল ও মেধাবী সন্তান নিতে চাইলে বিবাহযোগ্য নারী-পুরুষদের মধ্যে যাদের জিন পরস্পরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ তাদেরই বিয়ে করা উচিত। এমন পরামর্শই দিয়েছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি রাজ্য রিপাবলিক অব বাশকোরতাস্তানের চিকিৎসকেরা। তাদের মতে, বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের উচিত পরস্পরের জিন সংগতিপূর্ণ কি না তা যাচাই করে নেওয়া।
রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোদ বাশকোরতাস্তানের পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের একটা অংশ এমনটা চান। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের উচিত হবে নিজেদের জিনগত সংগতির বিষয়ের পরীক্ষার সনদপত্র বিয়ে রেজিস্ট্রারের অফিসে জমা দেওয়া।
বাশকোরতাস্তানের রাজ্য পার্লামেন্টের স্বাস্থ্য, সামাজিক নীতি ও প্রবীণ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সালাভাত খারাসভ বলেছেন, কিছু চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী বিবাহযোগ্য নারী ও পুরুষদের জেনেটিক স্ক্রীনিংয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। যেখানে সম্ভাব্য পিতামাতার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে যাতে তারা সন্তান ধারণে সক্ষম কি না এবং সন্তান ধারণের পর সেই সন্তান কোনো জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে কি না তা আগে থেকেই জানা যায়।
সালাভাত খারাসভ বলেছেন, ‘আমরা জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু এর আরেকটি দিক রয়েছে। যখন শিশুরা অসুস্থ হয়ে জন্মায় তখন এটি বংশগতি বা জেনেটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই বিষয়টিও জরুরি। তবে খারাসভ বিয়ে আগে দম্পতিদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে বাধ্য করার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বাশকোরতাস্তানের শ্রমমন্ত্রী লেনারা ইভানোভাও এই ধরনে ধারণার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ নতুন বাবা মা হতে চাওয়া নারী ও পুরুষদের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, রাশিয়ায় প্রতিবছর ২৫ হাজার শিশু জন্মগত বা বংশগত বিভিন্ন রোগ নিয়ে জন্মায়। ২০২৩ সাল থেকে এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে রাশিয়ার সরকার ৩৬ ধরনের জেনেটিক রোগের উৎস নির্ণয় ও এর চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে।