বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল তুরস্ক। কারণ দেশটি বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনের কাছাকাছি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, আজ সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়েছিলেন। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বদিকে ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তুরস্কের বেশির ভাগ অংশ আনাতোলিয়ান টেকটোনিক প্লেটে অবস্থিত। এটি আবার দুটি প্রধান প্লেটের মধ্যে অবস্থিত। প্লেট দুটির মধ্যে একটি ইউরেশিয়ান ও আফ্রিকান এবং অপরটি আরবিয়। এই বড় দুটি প্লেট স্থানান্তরিত হওয়ার সময় মূলত শক্তিশালী ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়েছে এবং তুরস্ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, দেশটিতে গত বছর ২২ হাজারেরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। সুতরাং তুরস্কের মানুষের কাছে ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওটকে বলেছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে গাজিয়ানটেপ এবং কাহরামানমারাস প্রদেশে ৯ শতাধিক ভবন ধসে পড়েছে। শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সকল নাগরিককে সমবেদনা জানাই। আশা করি আমরা দ্রুত এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারব।’
এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের ইজমিট শহরে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
আরও খবর পড়ুন: