ভারতের সেনাবাহিনীতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাত্র ৪ বছরের জন্য নিয়োগের বিরোধিতা করে বিহার, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। বিহারে এই বিক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে অগ্নিসংযোগও করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের দাবি—অস্থায়ী ভিত্তিতে নয়, স্থায়ীভাবেই সেনা বাহিনীতে চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে। আর তারই প্রতিবাদে বিহারের জেহানাবাদ জেলায় ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। দেশের অন্যান্য স্থানেও রেল লাইন–সড়ক অবরোধ, বাসে অগ্নিসংযোগসহ কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ভারত সরকার গত সোমবার সশস্ত্র বাহিনীতে নতুন একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। ‘অগ্নিপথ’ নামে নতুন এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার তরুণ–যুবককে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানায় ভারত সরকার। এই নতুন নিয়োগকৃত সৈন্যরা চার বছর বাহিনীতে সেনা দেবে। এ সময় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন তাঁরা।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এরই মধ্যে মুখ খুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের একাংশ। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর মতে, বাহিনীর মনোবল এতে দুর্বল হবে।
এর আগে, গতকাল বুধবার থেকেই বিহারে বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সেই বিক্ষোভ মারমুখী হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অস্থায়ী নয়, স্থায়ী ভিত্তিতেই সেনা বাহিনীতে চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে। একই দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ফলে অগ্নিপথ নিয়ে বেশ বিপাকে মোদী সরকার।