অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় জনপ্রিয় খাবার বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি। এই দুই পদের উদ্ভাবকের শিরোপা জেতার লড়াই গড়িয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। দিল্লির দ্য মতিমহল ও দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর মধ্যে ‘বাটার চিকেন ও ডাল মাখানির উদ্ভাবক’ ট্যাগলাইন নিয়ে আইনি লড়াই চলছে।
দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মতিমহল। তাদের দাবি, এ ধরনের ট্যাগলাইন ব্যবহার করে তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এতে মনে হচ্ছে যেন দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের মতে, মামলায় দাবি করা হয়েছে যে, দরিয়াগঞ্জ মতিমহলের সঙ্গে একটি মিথ্যা সম্পর্ক দেখাচ্ছে। মতিমহলের প্রথম শাখা দরিয়াগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জিব নারুলা দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর মালিককে এক মাসের মধ্যে লিখিত জবাব জমা দিতে বলেছেন। দুই রেস্তোরাঁই বহু বছর ধরে দাবি করে আসছে, তারাই বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি উদ্ভাবন করেছে।
মতিমহলের দাবি, রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠাতা কুন্দল লাল গুজরাল প্রথম এ খাবারগুলো তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন এবং তাঁর রন্ধন শৈলীর গুণেই এ খাবারগুলো বিশ্বজুড়ে ভারতীয় খাবারের অপর নাম হয়ে উঠেছে। অবিক্রীত তন্দুরি মুরগি যেন শুকিয়ে না যায় সে জন্য অভিনব এক ধরনের ঝোল তৈরি করেন গুজরাল। এ থেকেই তৈরি হয় বাটার চিকেন।
এদিকে কুন্দল লাল জাগ্গি এ খাবারগুলো তৈরি করেছেন এমন দাবি করে এ মামলাকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ।
দরিয়াগঞ্জ রেস্টুরেন্টের পক্ষের উকিল বলেন, আসল মতিমহল রেস্তোরাঁটি পাকিস্তানের পেশোয়ারে উভয় পক্ষের পূর্বসূরিদের—মতিমহলের গুজরাল ও দরিয়াগঞ্জের জাগ্গি—যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আগামী ২৯ মে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তত দিন পর্যন্ত ‘কে করেছে বাটার চিকেন আর ডাল মাখানির আবিষ্কার’—এ বিতর্ক চলতে থাকুক!