ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসার গুঞ্জন রয়েছে উঠেছে বেশ কয়েক দিন আগেই। অবশেষে আজ সে গুঞ্জন সত্যি হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে শিক্ষিত ও তরুণ সাংসদদের। কেন্দ্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামাল দিচ্ছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। পাশাপাশি ভবিষ্যতে উত্তর প্রদেশের নির্বাচনকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভায় গঠনে এসব বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে।
এবার মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে তরুণ সাংসদদের। পাশাপাশি এমবিএ, পিএইচডি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি রয়েছে এমন সাংসদদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে।
গত ২০ জুন নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন। সেখানে গত দুই বছরে সরকারের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করা হয়। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৮১ জন সদস্য থাকতে পারবেন। বর্তমানে ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ, মন্ত্রিসভায় আরও ২৮ জন সদস্য নিতে পারবেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর মন্ত্রিসভার আকার বর্ধিত করেন, তবে এটি হবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়াবে এবং আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সঙ্গে যেসব নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া, লাদাখের সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা পশুপতি পরশ প্রমুখ।