ভারতে বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ। দিল্লি, মুম্বাইসহ একাধিক শহরে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রকাশিত সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ১৪ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩৩৫। দৈনিক বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন। সরকারি সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জনসাধারণকে মাস্ক পরার পাশাপাশি ঘনঘন হাত ধুতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বরের পর আজ শুক্রবারই ভারতে প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের গণ্ডি পার করল। এদিকে দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ভারতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৯২৯।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, করোনার নতুন ধরন ‘এক্সবিবি ওয়ান সিক্সটিন’ নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে দায়ী বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি ভারতে করোনার নতুন এই ধরন খুঁজে পেয়েছে। একই সঙ্গে বিকিউ ওয়ান, বিএ টু সেভেন্টি ফাইভ, সিএইচ ওয়ান ওয়ান, এক্সবিবি, এক্সবিএফ ধরনের উপস্থিতি রয়েছে ভারতে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছেন, ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট হিসেবে যা প্রচার করা হচ্ছে, তার জন্য হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়েনি। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।