খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভারতের উত্তর প্রদেশের পিলিভিত জেলার পান্ডারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, নিহত পঙ্কজ (১৮) দশম শ্রেণির চূড়ান্ত বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।
পিলিভিত বাঘ সংরক্ষণের (পিটিআর) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নবীন খণ্ডেলওয়াল বলেন, মালা ও মাহফ ফরেস্ট রেঞ্জের সংযোগস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে এই হামলা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা কয়েক দিন ধরে এলাকায় ঘুরে বেড়ানো বাঘের আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষা করতে ব্যর্থতার জন্য বন কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রতিবাদ করছিলেন।
খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনীসহ ছুটে যান সদর সার্কেলের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র কুমার ও স্টেশন হাউস অফিসার প্রদীপ বিষ্ণুই। কিন্তু গ্রামবাসী ময়নাতদন্তের জন্য পঙ্কজের লাশ হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে কর্মকর্তারা গ্রামবাসীকে আশ্বাস দেন ও তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
খণ্ডেলওয়াল বলেন, মৃতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, যার মধ্যে রাজ্য দুর্যোগ সাড়াদান তহবিল থেকে ৪ লাখ টাকা এবং বন বিভাগের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মৃতের পরিবার এ ঘটনার জন্য প্রধান কারণ হিসেবে ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এর অধীনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শৌচাগার নির্মাণে বিলম্বকে দায়ী করেছে। পরিবারের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় অনুমোদন দেরিতে এসেছে।
পঙ্কজের দাদা কিষাণ পাল বলেন, ‘সময়মতো শৌচাগার নির্মাণ করা হলে আজ আমার নাতি বেঁচে থাকত।’
এর আগেও গত জানুয়ারিতে বাঘের আক্রমণে দুই গ্রামবাসী প্রাণ হারান।