গতকাল সোমবার রাতে জঙ্গল থেকে একটি হাতি চলে আসে আসামের তেজপুর শহরে। রাতের অন্ধকারে হাতিটিকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ওই সব রাস্তার আশপাশের ভবন থেকে অনেকেই হাতিটির চলাফেরা ভিডিও করেছেন। সেরকমই একটি ভিডিও থেকে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরবাইককে লাথি মারছে হাতিটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইকটিতে লাথি মারার পরপরই বাইকটি ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। ওই ভিডিওগুলোতে স্থানীয়রা শহরে চলাচলকারীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হাতিটি শহরে প্রবেশের আগে ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর তীর থেকে সাঁতরে দক্ষিণ তীরে উঠে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হাতিটি প্রথমে চানমারি এলাকার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে এবং রান্নাঘরে খাবারের সন্ধান করে। পরে সেখান থেকে তেজপুর জাহাজ বন্দর হয়ে চিত্রলেখা পার্কের দিকে যায়।
এদিকে, শহরের ভেতরে হাতির প্রবেশ এবং বাইকে লাথি মারার ঘটনা শহরে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাতিটি নদীর তীরে অবস্থিত গণেশ মন্দির হয়ে আসাম স্টেট ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (এএসটিসি) বাস স্ট্যান্ডে চলে যায় এবং সেখানে গিয়েই পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং মোটরবাইকের ক্ষতি করে।
বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরে হাতিটি বাসস্ট্যান্ডের পেছনে থাকা একটি কয়লা খনিতে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে হাতিটিতে রাত তিনটা নাগাদ আবারও বনে ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগেও চলতি মাসের শুরুতেই একপাল হাতির আক্রমণে আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় শিশুসহ অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া, সম্প্রতি মেঘালয়ের কুরঙ্গ গ্রামেও পাহাড়ি হাতি নেমে এসে বেশ কয়েক দফায় খাবারের সন্ধান চালায়।