অনলাইন ডেস্ক
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির উত্তর-পূর্বের আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে সাত থেকে আটজন লোক লাঞ্ছিত করেছেন এবং তার গায়ে কালি ছুড়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় কানহাইয়ার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার পূর্ব দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় ঘটে যাওয়া হামলার ভিডিও এখন ভাইরাল। অভিযুক্ত দুই হামলাকারী নিজেরাই ভিডিও প্রকাশ করে বলেছেন যে, তারা কংগ্রেস নেতাকে মারধর করেছেন। মারধরের কারণ হিসেবে অভিযুক্তরা বলেনন, দেশ ভাঙার বিষয়ে স্লোগান এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন কানহাইয়া।
এক অভিযোগে ব্রহ্মপুরীর আম আদমি পার্টির (এএপি) কাউন্সিলর ছায়া গৌরব শর্মা বলেছেন যে, তিনি এবং কানহাইয়া কুমার কর্তার নগরে পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন সাত থেকে আটজন লোক কানহাইয়াকে মালা পরাতে এসে তার গায়ে কালি ছুড়েছে এবং মারধর করেছে। তিনি বলেন, তিন থেকে চারজন নারীও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এবং একজন নারী সাংবাদিক পড়ে যান নর্দমায়।
ছায়া গৌরব শর্মার অভিযোগ, এ সময় আক্রমণকারীরা তাকে এক কোণে টেনে নিয়ে গিয়ে তাকে এবং তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয়।
দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তারা ছায়া গৌরব শর্মার অভিযোগ পেয়েছেন। ভিডিওগুলো যাচাই করা হচ্ছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তারা।
ঘটনার পর প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে দুজন ব্যক্তিকে হামলার দায় স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে। তাদের বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কানহাইয়া কুমার দেশ ভাগ করার কথা বলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই আমরা আজকে ওকে উচিত শিক্ষা দিয়েছি। যারা দেশভাগের কথা বলেন, তাঁদের আমরা দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেব না।’
৩৭ বছর বয়সী কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য বিজেপির প্রার্থী মনোজ তিওয়ারির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৫ মে দিল্লিতে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে।
এই হামলা চালানোর দায় বিজেপির ওপর দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মনোজ তিওয়ারিই এই হামলার প্ররোচনা দিয়েছেন। কানহাইয়ার দাবি, তার জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি প্রার্থী হতাশ হয়ে গুন্ডা পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছেন।