দীর্ঘ নয় বছর পর পাকিস্তান যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।
মুখপাত্রের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার উৎসবের ক্ষেত্রে এসব ঘটনা প্রকৃত বার্তা দেয় না।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক আক্রমণ এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোথাও কোথাও মূর্তি ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আশা করি, সেই সুরক্ষা সংখ্যালঘুদের দেওয়া হবে।’
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘মূর্তি ভাঙার মতো ঘটনা মোটেই অভিপ্রেত নয়। এই উৎসব সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার কথাই বলে। এ ধরনের ঘটনা একেবারেই সঠিক বার্তাবহ নয়।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের এক ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে আঞ্চলিক জোট সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দেন দুজনই।
এ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতাকে ভারত খুব গুরুত্ব দেয়। সেই কারণে বিমসটেককে ভারত যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কিন্তু সার্ক কেন থমকে রয়েছে, তা সবার জানা। একটি বিশেষ দেশের আচরণই সে জন্য দায়ী।
তিনি জানান, ১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে কিনা কিংবা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগ্রহ পাকিস্তানি নেতৃত্ব দেখিয়েছে কিনা, তা এখনো ঠিক হয়নি। তাই এখনই কিছু বলা যাবে না।
প্রয়াত সুষমা স্বরাজ ভারতের শেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে।
শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের ঢাকায় ডেকে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে চাননি। কূটনীতিকদের নিযুক্তি, বদলি বা প্রত্যাহার করার বিষয়টি যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে এড়িয়ে যান তিনি।