কলকাতা প্রতিনিধি
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে যেসব কৃষক নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সরকারকে ঠিক করে দিতে হবে। এই দুই দাবিতে আজ বুধবারও ভারতের জাতীয় সংসদ উত্তাল ছিল। দফায় দফায় মুলতবি হয়েছে অধিবেশন।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার সংসদে বলেছেন, সরকারের কাছে কৃষক আন্দোলনে নিহতদের কোনো তথ্য নেই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, কেন্দ্রের জবাব দুর্ভাগ্যজনক। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়াও ১২ জন সাংসদের বরখাস্তের দাবি প্রত্যাহার নিয়ে এদিনও হইচই হয় সংসদে। সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এদিনও ছিল বিরোধী সাংসদদের গণ অবস্থান।
কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন তিনটিই প্রত্যাহার করে নিলেও ভারতীয় সংসদে উত্তেজনা কমছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার স্বৈরাচারী মানসিকতা থেকেই বিনা আলোচনায় বিল তিনটি পাস করিয়েছিল, প্রত্যাহারও করেছে বিনা আলোচনাতেই। তাই কৃষকদের স্বার্থে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তাঁরা তুলতে চান সংসদে। কিন্তু লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লা রাজি না হওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে গত অধিবেশনের অসংসদীয় আচরণের কারণে রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতেও আন্দোলন চলছে।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ক্ষমা না চাইলে বরখাস্তের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বিরোধী পক্ষের কাছে ক্ষমতা চাওয়ার অনুরোধ করলেও সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।