অনলাইন ডেস্ক
অধিকারকর্মী তিস্তা শীতলাবাদকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। আজ শুক্রবার ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট দাঙ্গায় ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জড়িত ছিলেন না’ এমন একটি রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজের এক দিন পর তাঁকে আটক করা হলো।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি ওই আপিল করেছিলেন। তিস্তা শীতলাবাদ ওই আপিলে আপিলকারীদের একজন ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গুজরাট পুলিশ তিস্তা শীতলাবাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে শীতলাবাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্রে শীতলাবাদের পাশাপাশি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আরবি শ্রীকুমার ও সঞ্জয় ভাটের নামও রয়েছে। এই দুজনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তাঁরা গুজরাট পুলিশকে দাঙ্গা রুখতে বাঁধা দিয়েছিলেন।
এর আগে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিস্তা শীতলাবাদ গুজরাট দাঙ্গার বিষয়ে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমেজ ধূলিসাৎ করতে চেষ্টা করছেন। অমিত শাহের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হলেন তিস্তা শীতালাবাদ।
অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘আমি বিচারের রায় খুবই সতর্কভাবে পড়েছি। রায়ে স্পষ্টভাবে তিস্তা শীতলাবাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর এনজিওর নামও উল্লেখ করা হয়েছে—এই মুহূর্তে আমি তাঁর এনজিওর নাম মনে করতে পারছি না। তাঁরা পুলিশকে দাঙ্গার বিষয়ে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছিল।’
সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘তিস্তা শীতলাবাদের এনজিও গুজরাট দাঙ্গার বিষয়ে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের জড়িত করে অভিযোগ দায়ের করেছিল। এবং সেই সময়ে গণমাধ্যমের চাপ এত বেশি ছিল যে—সেসব অভিযোগের সবগুলোকেই সত্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিবিআই শীতলাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর এনজিওর তহবিল তছরুপের একটি অভিযোগ এনেছিল।