ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঈদের দিনকে কেন্দ্র করে কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজ্যটির খারগোন জেলায় এই কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বা মঙ্গলবার ঈদ উদ্যাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই দিনই জেলাটিতে কারফিউ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে খারগোন জেলা প্রশাসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
খারগোনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সামার সিং বলেছেন, ‘২ এবং ৩ মে খারগোনে সম্পূর্ণ কারফিউ জারি করা হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে নিজ নিজ বাড়িতে। এই দুই দিন কেবল দোকানপাট খোলা থাকবে এবং পরীক্ষা দিতে যাবেন এমন শিক্ষার্থীদের পাস দেওয়া হবে।’
জেল ম্যাজিস্ট্রেট সামার সিং আরও বলেন, ‘অক্ষয় তৃতীয়া এবং পরশুরাম জয়ন্তীতেও কোনো অনুষ্ঠান উদ্যাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না।’
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল খারগোনে রাম নবমীর সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ সময় এক ব্যক্তি নিহত হন এবং খারগোনের পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধুরীর ওপরও গুলিবর্ষণ করা হয়।
আনন্দ নগর কাপাস মান্ডি এলাকায় ইবরিস খান হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে গুলি করার অভিযোগেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা ৬৪টি মামলায় দেড় শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, ১০ এপ্রিলের ঘটনার পর রাজ্য সরকার স্থানীয় প্রশাসনকে আসন্ন উৎসবগুলোর আগে নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ঈদ ছাড়াও আসন্ন উৎসবগুলোর তালিকায় রয়েছে ড. ভীম রাও আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী, মহাবীর জয়ন্তী, গুড ফ্রাইডে এবং হনুমান জয়ন্তীর মতো উৎসব।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি উৎসব পালিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মধ্যপ্রদেশের জেলাগুলো সতর্ক রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সমস্ত জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের তাদের নিজ নিজ এলাকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।’