নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন–সিএএ নিয়ে ভারতে সমানে দোটানা চলছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে তড়িঘড়ি আইন করা হলেও বিধি তৈরি হয়নি আজও। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী কার্যকর করতে মরিয়া। কিন্তু আসামসহ উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ৮টি রাজ্যই সিএএ বিরোধী। ফলে হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসি শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের ইস্যুটি এখনো ঝুলে রয়েছে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘শিগগিরই কার্যকর হচ্ছে সিএএ।’ তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হয় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। পরদিনই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু তারপর প্রায় ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সিএএ কার্যকরের বিধিই তৈরি হয়নি এখনো। এই আইন নিয়ে এরই মধ্যে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান ভারতীয় সংবিধানের মূল চিন্তাধারার বিরোধী। কংগ্রেসসহ বেশির ভাগ বিরোধী দল এই আইনের বিরোধিতা করলেও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলেই সিএএ কার্যকর হবে।’
তবে অমিত শাহের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আসামের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সিএএ আসলে প্রতারণা।’ বাঙালি বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের খুশি রাখতেই আইনটি কার্যকর হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।