ভারতের আসাম রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। প্রত্যেকের কাছেই জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারে ভুয়া কার্ড ছিল বলে জানিয়েছে আসাম পুলিশ।
সর্বশেষ আজ রোববার সকালে আসামের রাজধানী গুয়াহাটি রেল স্টেশন থেকে নয়জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে। আগরতলা-দেওঘর স্পেশাল ট্রেন থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
গুয়াহাটি রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একজন ভারতীয়ও ছিলেন। তাঁর নাম আমন উল্লাহ। বাড়ি জম্মুতে। তাঁকেও আটক করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার আসামের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর রেলস্টেশন থেকে ৬ শিশু ও ৩ নারীসহ ১৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তাঁরা ট্রেনে করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাচ্ছিলেন।
জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, উত্তর প্রদেশের আলিগড় থেকে আটক রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। বাংলাদেশ থেকেই তাঁরা কাজের সন্ধানে আলিগড় গিয়েছিলেন।
এর আগেও ভারতে রোহিঙ্গা আটকের একাধিক ঘটনা রয়েছে। করিমগঞ্জেই গত ডিসেম্বরে ১৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আসাম ও ত্রিপুরার জেলে বন্দী রয়েছেন বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী।
সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাসহ সমস্ত বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হিসেবেই ধরা হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।’