অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: করোনার নতুন ধরন ‘ডেলটা প্লাস’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। ভারতে প্রথম করোনার নতুন এই ধরন শনাক্ত হয়, যা এরই মধ্যে বিশ্বের নয়টি দেশে ছড়িয়েছে। দেশগুলো হলো– যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, চীন ও রাশিয়া।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ডেলটা প্লাসে ভারতের মধ্যপ্রদেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গতকাল বুধবার। আজ কর্তৃপক্ষ সেটি নিশ্চিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডেলটা প্লাস’ উদ্বেগজনক। ডেলটা তরঙ্গ খুব সংক্রামক। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বহু লোককে আক্রান্ত করতে পারে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনার ডেলটা প্লাস ধরনে ফুসফুসের ক্ষতি হয় বেশি। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল (স্বাস্থ্য) বলেন, অন্যান্য দেশে ডেলটা স্ট্রেনের কারণে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই স্ট্রেন দ্রুতগতিতে ছড়ায় ও খুব অল্প সময়ে বহু মানুষকে আক্রান্ত করে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে হলে দরকার কঠোর করোনাবিধি পালন ও দ্রুত টিকাকরণ।
কয়েকটি গবেষণার বরাত দিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তথাকথিত ‘ডেলটা প্লাস’ ধরনটি আগের ধরনগুলোর চেয়ে সহজে ছড়ায়, ফুসফুসের কোষের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত সহজে যুক্ত হয় এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত টিকা যে মূলনীতি অনুসারে তৈরি করা হয়—মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি; তার বিরুদ্ধে কার্যকর।
দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির পরিচালক ডা. অনুরাগ আগারওয়ালের মতে, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট থেকে তৈরি হওয়া সব ভ্যারিয়েন্টই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিভাগের ভাইরোলজিস্ট জেরেমি কামিল বলেন, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে নতুন ডেলটা প্লাস বেশি মারাত্মক, এ রকম চিন্তা করার কোনো কারণ এখনো নেই। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষ বা মহামারির শুরুর দিকে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের আবারও আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেলটা প্লাস হয়তো ডেলটার চেয়ে কিছুটা বেশি কার্যকর হবে। কিন্তু আমি এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হতে চাই না।