ভারতের বিহার রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন নার্স সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। তাঁর ওপর আক্রমণকারীদের একজন ছিলেন সেই হাসপাতালেরই চিকিৎসক। পরে ব্লেড দিয়ে সেই চিকিৎসকের পুরুষাঙ্গ কেটে কোনোমতে পালিয়ে বেঁচেছেন ওই নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুর জেলার মুসরিঘররারি থানার গঙ্গাপুর নামক একটি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, যে হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে, সেটির নাম আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টার। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি হাসপাতালে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক মাস পর এ ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে ওই নারী যখন তাঁর কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন হাসপাতালের পরিচালক ডা. সঞ্জয় কুমার ও তাঁর দুই সহযোগী তাঁকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হন। এ সময় তাঁরা সবাই মাতাল ছিলেন। একপর্যায়ে ডা. সঞ্জয় ওই নার্সকে জাপটে ধরেন।
নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে একটি ধারালো বস্তুর সাহায্যে ডা. সঞ্জয়ের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন এবং কোনো রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালের পাশের একটি মাঠে বেশ কিছুক্ষণ লুকিয়ে থেকে পুলিশকে ফোন করেন।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সঞ্জয় কুমার পান্ডে বলেছেন, ফোন পেয়ে পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। পরে মাঠ থেকে সেই নার্সকে নিরাপদে উদ্ধার এবং হাসপাতাল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন সুনীল কুমার গুপ্তা ও অবধেশ কুমার। তিনি জানান, যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করার আগে অভিযুক্তরা হাসপাতালটিতে ভেতর থেকে তালা দিয়েছিলেন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।