ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার উপকণ্ঠে সম্প্রতি ২৭ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের হাতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরা পড়ার বিষয়টি তদন্তের জন্য বিশেষ অনুসন্ধানী দল বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠন করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার ২৭ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র জ্যোতিস্মান দাস চৌধুরী। কিন্তু কারা এই অনুপ্রবেশে মদদ জোগাচ্ছে বা কোন কোন চক্র জড়িত রয়েছে সবকিছুই খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে এসআইটি। ত্রিপুরা পুলিশ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছে, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ত্রিপুরা পুলিশের অধীনে এসআইটি গঠন করা হয়েছে। দেশবিরোধী চক্রকে খুঁজে বের করাই এসআইটির উদ্দেশ্য।’
ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওই বিশেষ অনুসন্ধানী দল ত্রিপুরায় বাংলাদেশিরা কীভাবে অনুপ্রবেশ করছে, কারা জড়িত রয়েছে সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে। এমনকি, অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিএসএফ কী ধরনের ভূমিকা পালন করেছে, তা-ও খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।
ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করেছে এমন অভিযোগে দায়ের করা ৬টি মামলা তদন্তের ভার এসআইটিকে দেওয়া হয়েছে। এসআইটি দল কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে অনুপ্রবেশ কীভাবে ঘটছে, সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখবে।
ত্রিপুরার মোট সীমান্তের ৮৪ শতাংশই বাংলাদেশের সঙ্গে। ত্রিপুরা-বাংলাদেশ ৮৫৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে ৮৫ শতাংশেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ। সীমান্ত সুরক্ষায় রয়েছে বিএসএফের ২৪৫টি সীমান্তচৌকি। তারপরও উঠছে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ।