হোম > বিশ্ব > ভারত

ধর্ষণে দণ্ডিত গুরু রাম-রহিম খুনের মামলায় খালাস

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তো বটেই, সাধারণ মানুষের মধ্যেও বেশ আলোচিত নাম গুরমিত সিং রাম-রহিম। আজ মঙ্গলবার হরিয়ানার ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান এই ধর্মগুরুকে খুনের একটি মামলা থেকে খালাস দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

রাম-রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০০২ সালে ডেরা সাচ্চা সৌদার রাজ্য পর্যায়ের একটি কমিটির সদস্য রণজিৎ সিংকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রণজিৎ সিংকে গুলি করা হত্যা করা হয়। তবে রাম-রহিম সিং বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

রণজিতের হত্যার অভিযোগে যে মামলাটি দায়ের করা হয়, সেখানে অভিযোগ করা হয়—একটি বেনামি চিঠিতে ফাঁস করা হয়েছিল যে, রাম-রহিম সিং তাঁর ডেরায় নারীদের যৌন নিপীড়ন করতেন। আর এই চিঠি ফাঁসের ক্ষেত্রে রাম-রহিম সিংয়ের ইঙ্গিত ছিল রণজিতের বিরুদ্ধে। 

এর আগে, ২০২১ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের একটি আদালত রাম-রহিম সিং এবং অন্য চারজনকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। সিবিআইয়ের বিশেষ সেই আদালত বলেছিলেন, যুক্তিসংগত ও সন্দেহাতীতভাবে এটি প্রমাণিত যে ডেরাপ্রধান চিঠিটির কারণে সংক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে রণজিৎ সিংকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। 

সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ৫৬ বছর বয়সী ডেরাপ্রধান গুরমিত সিং রাম-রহিম হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। সেই আপিলের কার্যক্রম শেষে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট রাম-রহিম সিংসহ বাকি চারজনকেও খালাস দিয়েছেন। তবে এই মামলায় খালাস পেলেও তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। 

ভারতের রাজনীতিতে বিতর্কিত এই ডেরাপ্রধান ডেরায় দুই বিবাহিতা নারীকে ধর্ষণ ও সাংবাদিক রাম চন্দর প্রজাপতির হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। রাম চন্দর প্রজাপতি প্রভাবশালী এই ডেরাপ্রধানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। 

গুরমিত সিংহ রাম-রহিমের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশের পরে ডেরা সাচ্চা সৌদা সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয় এবং সিবিআই বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শুরু হওয়ার এক দশক পর ২০১৪ সালে ডেরাপ্রধান দাবি করেন যে, তিনি নপুংসক কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। 

পরে ২০১৭ সালে রাম-রহিম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত দণ্ডাদেশ দেন। তাঁর দণ্ডাদেশের পর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০ জন মারা যান এবং ২৫০ জনের বেশি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ডাকা হয়। রাম-রহিম বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং উচ্চ আদালতে এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জ করেছেন।

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় গেলেন না নরেন্দ্র মোদি

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি