ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) ওষুধ রপ্তানির জন্য নির্ধারিত ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস’ ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থা প্রত্যাহারের মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের ওষুধ রপ্তানিকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। যাতে কোনো অতিরিক্ত অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই পণ্যের নিরাপত্তা ও শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১৪ বছর আগে চালু হওয়া ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস ব্যবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছিল। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এই ব্যবস্থাটি কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। এর ফলে এর স্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এখন থেকে ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা নির্ধারণের দায়িত্ব মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। এই মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (সিডিএসসিও) মাধ্যমে একটি একক ও সমন্বিত নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করবে, যা নিয়মকানুনের সামঞ্জস্য বজায় রাখবে এবং একাধিক সংস্থার মধ্যে নীতির পুনরাবৃত্তি দূর করবে। এর ফলে, ওষুধ রপ্তানিকারকদের জন্য প্রশাসনিক জটিলতা কমবে এবং তারা সহজেই আন্তর্জাতিক মান মেনে চলতে পারবে।
সরকারি ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৩০০টি ওষুধ ব্র্যান্ডের জন্য বারকোড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। এটি পণ্যের পরিচিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া, এই উদ্যোগ আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ওষুধ এই ব্যবস্থার আওতায় আসে এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা সম্ভব হয়।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ওষুধ রপ্তানিকারকদের জন্য ব্যবসা পরিচালনার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং একই সঙ্গে নিয়মকানুনের সমন্বয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ডিজিএফটি মনে করে, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে, যা ভারতের ওষুধ শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়াবে।