অনলাইন ডেস্ক
দিল্লির এক ব্যস্ত বাজারে ২৫ বছরের এক যুবককে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজনের মায়ের সঙ্গে নিহত মায়াঙ্কের কথা-কাটাকাটি হয়েছিল দেয়ালে প্রস্রাব করা নিয়ে। তার জের ধরেই মায়াঙ্ককে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মনীশ, রাহুল আশিস এবং সুরাজ। এই চারজনকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ প্রথমে রাহুল, আশিস এবং সুরাজকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত মনীষকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে এই চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার দিল্লির একটি ব্যস্ত বাজারে মায়াঙ্ককে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তাঁর আগে অভিযুক্ত মনীষের মায়ের সঙ্গে মায়াঙ্কের কথা-কাটাকাটি হয় দেয়ালে প্রস্রাব করা নিয়ে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের শিক্ষার্থী মায়াঙ্ক সেখানকার একটি দেয়ালে প্রস্রাব করেছিলে। তা দেখেই মনীষের মা মায়াঙ্ককে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে তা কথা কাটাকাটিতে রূপ নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মায়াঙ্ক মনীষের মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে গিয়ে ওই নারীকে থাপ্পড় মেরে বসেন। বিষয়টি দেখে মনীশ তাঁর বন্ধুদের ডেকে আনেন এবং মায়াঙ্ককে ধাওয়া করেন। ধাওয়ার একপর্যায়ে গিয়ে স্থানীয় মালবিয়া নগরের ডিডিএ মার্কেটে সবার সামনে মায়াঙ্ককে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর পরপরই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তাঁরা।
তবে এই পুরো ঘটনাটি সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে দ্রুতই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর মায়াঙ্ক সেখানে উপস্থিত জনতার কয়েকজন স্থানীয় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস–এআইআইএমএস এ নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মায়াঙ্কের মৃত্যু হয়।