মানহানি মামলা থেকে রেহাই পেতে এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী সাজা কার্যকর করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে এই আপিল করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘মোদি’ পদবি নিয়ে কটাক্ষ করায় ২০১৯ সালের একটি মানহানি মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর এক দিন পর ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দেশটির লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
লোকসভা সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন, অর্থাৎ ২৩ মার্চ ২০২৩ থেকে তিনি আর এমপি নন।
তবে আদালত রাহুল গান্ধীকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ এপ্রিল সুরাট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। আদালত সেই স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাহুলকে জামিন দিয়েছিল।