বাংলাদেশে অর্থ আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার এবং তাঁর পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ভারতের অর্থনৈতিক অপরাধের তদন্তে নিযুক্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে তাঁরা ১০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগপত্রে পি কে ও তাঁর সঙ্গীদের বিশাল অর্থরাশির কথা উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে পি কেদের অন্তত ৮৮টি ব্যাংক হিসাবে ও ৩০০ কোটি রুপির সন্ধান পেয়েছে ইডি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ ছাড়াও জেলবন্দী ৬ আসামির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে।
গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রশান্ত কুমার হালদার ও তাঁর ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ওরফে পৃথ্বীশ হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।
গতকাল অভিযোগপত্র পেশের পর দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে আসামিদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে তার আগে ভারতে সাজা ভোগ করতে হতে পারে বলেও আইনজীবীরা মনে করছেন।
সর্বশেষ ১৪ দিনের জেলহাজত শেষে গত ৫ জুলাই পি কে হালদার এবং তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন করা হয়। তবে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক জীবন কুমার সাধু জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের আরও ১৫ দিনের জন্য জেলে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২১ জুন পি কে ও তাঁর সহযোগীদের আদালতে হাজির করা হয়। সেদিনও জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারও আগে গত ৭ জুন পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ১৪ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সরকার পক্ষের বক্তব্য, পি কে এবং তাঁর সঙ্গীদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ও বেনামি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এখনো তদন্ত চলছে। তাই জামিনের বিরোধিতা করা হয়।