কলকাতায় চিকিৎসা করিয়ে আজ বুধবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মৈত্রী এক্সপ্রেসে চড়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। সকালে মৈত্রী এক্সপ্রেসে চড়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সে কারণে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরিও হয়। কিন্তু তিনি আর বাঁচেননি।
ওই বাংলাদেশি যাত্রীর নাম সেলিম মাহমুদ (৬৫)। তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
কলকাতা স্টেশনের রেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই যাত্রী কিছুদিন আগে কলকাতা আসেন চিকিৎসা করাতে। এদিন বাংলাদেশে ফিরছিলেন তিনি।
আজ সকালে অভিবাসন দপ্তরের চেকিং শেষে ট্রেনে চড়ার পর ওই যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় বমি, পাতলা পায়খানা। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁকে দ্রুত কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাঁর সঙ্গে শাহনাজ পান্না নামে এক আত্মীয় ছিলেন। তিনি জানান, চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরার পথেই এই বিপত্তি ঘটল। সেলিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তড়িঘড়ি নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেই কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা বিলম্বে কলকাতা ছাড়ে ট্রেনটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ওই ট্রেনে বহু রোগী কলকাতা চিকিৎসা করাতে আসেন।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ–হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসা করাতে এতে প্রতিদিন ৬ / ৭ জন বাংলাদেশি কলকাতায় মারা যান। তাঁদের মরদেহ দ্রুত দেশে নেওয়ার জন্য মিশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মিশনের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম মাহমুদের মরদেহ দেশে নেওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বজনেরা দ্রুত মরদেহ দেশে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।