অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় বর্তমানে নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিপদে আছে বলে মনে করেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা হচ্ছে বলেও ধারণা তাঁর। অভিযোগ করেছেন, সবকিছু দেখেও বিভিন্ন দেশের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা নীরব রয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ে ভারত-ভাগের স্মৃতিতে একটি মৌন পদযাত্রায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন যোগী আদিত্যনাথ।
আদিত্যনাথ বলেন, ‘১৯৪৭ সালে যা হয়েছিল, তা আজ পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হচ্ছে। তখন ১০ লাখ হিন্দু ও শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। আজও আমরা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, নারীর প্রতি অত্যাচারের একই দৃশ্য দেখছি। প্রায় দেড় কোটি হিন্দু বাংলাদেশে তাদের পরিচয় বাঁচাতে চিৎকার করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ ও ভারতের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের ভোটব্যাংক নিয়ে চিন্তিত। তাই বাংলাদেশে নৃশংসতার বিষয়ে নীরব।’
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হওয়ার জন্য বিরোধী দল কংগ্রেসকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন আদিত্যনাথ। কংগ্রেসকে তিনি বিভাজনমূলক রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এক ভারত এবং একটি মহান ভারত নিয়ে ভাবতে হবে। দেশভাগের ট্র্যাজেডির জন্য কংগ্রেস দায়ী এবং এই ট্র্যাজেডির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে না। কংগ্রেস যখনই সুযোগ পেয়েছে, তারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছে।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, ‘সিন্ধু ছিল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। কেন এটিকে পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হলো? ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। আজ এই সংখ্যা ৭-৮ ভাগে নেমে এসেছে।’