অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর গত ২৪ জুন শুরু হয়েছে ভারতের অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। টানা ১০ দিনের এই অধিবেশনের অষ্টম দিনে আজ সোমবার রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এদিন ইন্ডিয়া জোটের হয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে লক্ষ্যবস্তু করেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মহুয়া মৈত্রও।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, তৃণমূল থেকে নির্বাচিত এমপি মহুয়া মৈত্র লোকসভায় অভিযোগ করেছেন—সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন ও এর আগে থেকেই মহাভারতের দ্রৌপদীর মতো তাঁর বস্ত্রহরণ করেছে শাসকদল। তবে সাধারণ মানুষ কৃষ্ণ হয়ে তাঁকে লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত লোকসভা অধিবেশনে তখন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা চলছিল। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পরই কথা বলতে উঠে দাঁড়ান মহুয়া। সাম্প্রতিক তিক্ত অভিজ্ঞতাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাকে এই সভাতেই কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাকে বসতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেটা যারা করেছে আজ তাদেরই ৬৩ জন এমপিকে জনতা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ বিজেপিকে ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নামিয়ে এনেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র যখন কথা বলার জন্য উঠে দাঁড়ান, প্রধানমন্ত্রী মোদি তখন আসন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য উঠে পড়েন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া তখন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি আপনাকে অনুরোধ করছি, আজ অন্তত আমার কথা শুনে যান। এখানে আড়াই ঘণ্টা ধরে আপনি বসে আছেন আমার এই কথাটাই শুনতে। স্যার, ভয় পাবেন না, ভয় পাবেন না। স্যার আপনি আমার কেন্দ্রে দুবার এসেছিলেন ভোটের আগে। ভোট প্রচার করেছিলেন। স্যার শুনুন, ওকে, আমার দুর্ভাগ্য (মোদি ততক্ষণে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন)।’
মহুয়ার বক্তব্যের সময় ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বিপুল হট্টগোল শুরু হয়। তৃণমূলের সতীর্থরা তখন তাঁদের চুপ করতে বলেন। মহুয়া বলেন, ‘যার ইচ্ছে হয় চলে যান। আমি আমার ভাষণ শেষ করে যাব। কারণ আমাকে এখানে বসতে দেওয়ার জন্য ভোটারেরা শাসকদলের ৬৩ জনকে ছাঁটাই করে দিয়েছেন।’
নিজের বক্তব্যে মহুয়া মত দিয়েছেন, বিজেপি সরকার টিকবে না। কারণ তারা জোটের ওপর ভর করে সরকার গড়েছে। যে কোনো দিন এই সরকার পড়ে যাবে।