অনলাইন ডেস্ক
চোর ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন। বিচক্ষণ কেউ কেউ অবশ্য চোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াই যথার্থ মনে করেন। তবে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের দাতিয়া জেলায় যা ঘটল, তার সঙ্গে কোনো কিছুই মেলানো সম্ভব নয়।
রোববার ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাতিয়া জেলার একটি জিমের ভেতর চুরি করতে গিয়ে কোনো মালামাল নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে শরীরের ঘাম ঝড়াতে হয়েছে নাবালক এক চোরকে। শাটারের নিচ দিয়ে কোনোরকমে ওই জিমের ভেতর প্রবেশ করেছিল চোরটি। তার জানা ছিল না, সিসি ক্যামেরায় সবকিছু দেখছেন জিমের মালিক।
গভীর রাতে ফোনের নিরাপত্তা সংকেত পেয়ে জিমের মালিক বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর প্রতিষ্ঠানে চুরি হচ্ছে। পরে তিনি দ্রুত জিমের দিকে ছুটে যান এবং জিমের ভেতরে থাকা চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তবে চোরকে উত্তম-মাধ্যম কিংবা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো চিন্তা করেননি তিনি। এর বদলে চোরকে শায়েস্তা করার আরেকটি পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। সেই অনুযায়ী, ওই চোরকে একটি ট্রেডমিলে (আবদ্ধ স্থানে দৌড়ানোর মেশিন) দৌড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, কিশোর বয়সী ওই চোর চুপিসারে জিমে প্রবেশ করছে। পরে ট্রেডমিলে তাঁর ঘাম ঝড়ানোর চিত্রও দেখা গেছে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে কিশোর চোর। শাস্তি হিসেবে তারপরও তাঁকে দৌড়াতে উৎসাহ দিচ্ছিলেন জিমের মালিক।
এই ঘটনাটি চোর ধরার পড়ার সাম্প্রতিক আরও একটি ব্যতিক্রম ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসেছে। কয়েক মাস আগেই ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের লক্ষ্ণৌতে এক বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে ঘুমিয়ে পড়েছিল এক চোর। পরে তাঁর ঘুম ভাঙে বাড়ির বাসিন্দাদের ডাকাডাকিতে। পুলিশ জানিয়েছিল—চোরটি ওই বাড়িতে থাকা মদ পান করে এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাতাসে আরাম পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।