নিজের প্রতিষ্ঠিত আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলির পণ্যের প্রচারে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনের জন্য ভারতের যোগগুরু রামদেবকে তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশের পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শানো বা শো-কজ নোটিশও দিয়েছে। একই সঙ্গে পতঞ্জলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আচার্য বালকৃষ্ণণকেও ভর্ৎসনা করেছে আদালত।
পতঞ্জলির বিভিন্ন ওষুধের বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য থাকায় সেটির প্রচার বন্ধে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা যেন ওই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখে তা জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মূলত ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, অ্যালোপ্যাথি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে। সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টে তাই পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আরজি জানিয়েছিল।
পতঞ্জলি আদালতের সেই আদেশ অমান্য করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই প্রতিষ্ঠানটিকে আদালত অবমাননার অভিযোগের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় সাড়া দেয়নি পতঞ্জলি। তাই আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় আবারও রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণনকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছর নভেম্বরে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়েও পতঞ্জলি ভুল প্রচার চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে আদালত কেন্দ্রকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলেছিল। আদালত সে সময় বলেছিল, পতঞ্জলির সব ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।
পতঞ্জলি দাবি করেছিল, তাদের বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা প্রতিটি রোগের চিকিৎসাই করতে পারে তাদের অসুখ। কিন্তু আদালত এই দাবির সত্যতা খুঁজে পায়নি। সে সময় আদালত জানিয়েছিল, মিথ্যা দাবি করায় পতঞ্জলির প্রতিটি ওষুধের জন্য ১ কোটি রুপি করে জরিমানা করা হতে পারে।
বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলাকারী ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রামদেব অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন, মিথ্যা প্রচার করেছেন।