ভারতে ৭৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। এ মন্ত্রিসভায় সদস্য হিসেবে রয়েছেন ৪৩ জন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আজ বুধবার শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস থেকে ১৬ মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গত বছরের মার্চে তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন।
কংগ্রেস ছাড়ার সময় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছিলেন, মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের ১৫ মাসের শাসনামলে দুর্নীতির ছড়াছড়ি ছিল। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি।
গুঞ্জন শোনা গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গোয়ালিয়রের রাজ পরিবারের শেষ মহারাজা জীবজীরাও সিন্ধিয়ার নাতি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুনা জেলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল নিয়ে সারা দিনই আলোচনা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর কথা বলেছিলেন। দপ্তর বদল থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভায় নতুন সদস্য যোগ যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ মাথায় নিয়েই পদত্যাগ করেছেন। পরে এর সঙ্গে যোগ দেন আরও ১০ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের সবার পদত্যাগপত্র ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ নানা কারণেই মন্ত্রিসভা রদবদলের ঘোষণা দিয়েছিল মোদি সরকার। সেই ঘোষণা মেনে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নেন। এর মধ্যে সবাই অবশ্য নতুন নন। কেউ কেউ পদোন্নতি পেয়ে প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হয়েছেন। একেবারে নতুন সদস্য হিসেবে মন্ত্রিসভায় ৩৬ জন যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।