
শুধু দলীয় কর্মীদের জন্যই নয়, ভারতের সাধারণ জনগণের জন্যও কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন জরুরি। পাঁচ রাজ্যে ভোটে হারার পর কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন দলের অস্থায়ী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
তবে কাজটা যে বেশ কঠিন, সেটাও তিনি দলের জাতীয় সংসদের সদস্যদের মনে করিয়ে দেন। একই সঙ্গে সোনিয়া কংগ্রেস কর্মীদের ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপির বিভেদের রাজনীতির বিপরীতে কংগ্রেসকেই শক্তিশালী হতে হবে। নইলে দেশের সংহতি ও সম্প্রীতি নষ্ট হবে। কিছুতেই সেটা বরদাশত করা যায় না।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর দলকে শক্তিশালী করতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন সোনিয়া গান্ধী। এদিন সংসদীয় দলের বৈঠকে কংগ্রেস কর্মীদের একতার বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, গোষ্ঠী কোন্দল বরদাশত করা হবে না। সোনিয়া ছাড়াও বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভায় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সোনিয়া জানান, সাংগঠনিক নির্বাচনের পাশাপাশি শিগগিরই ‘চিন্তন শিবির’ আয়োজন করা হবে। সেখানে দলের নীতি ও আদর্শ তুলে ধরে কর্মীদের আরও বেশি করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দীক্ষিত করে তোলা হবে। বৈঠকের পর জাতীয় সংসদের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। দফায় দফায় মুলতবি হয় অধিবেশন।
সামনেই গুজরাট ও কর্ণাটক রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এদিন গুজরাটের যুবনেতা তথা সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের ছেলে ফৈজল প্যাটেল কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। ফলে ঘুরে দাঁড়ানো আরও কঠিন হচ্ছে কংগ্রেসের জন্য।