অনলাইন ডেস্ক
জাল নথি ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের ভারতে পাচার করার একটি আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন আটজনের বিরুদ্ধে গত সোমবার চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। এঁদের মধ্য একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনআইএ গুয়াহাটির একটি বিশেষ আদালতে দাখিল করা সম্পূরক চার্জশিটে জলিল মিয়া, হানান মিয়া, পলাতক কাজল সরকার, অধীর দাস এবং আনোয়ার হোসেইন ওরফে মামার নাম দিয়েছে। এদের সবাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা থেকে কাজ করত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, অভিযোগপত্রে পশ্চিমবঙ্গের লিটন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিযুক্ত অমল চন্দ্র দাসের ভাই পলাতক কমল দাসের নাম এসেছে। কমল শিলচর থেকে কাজ করতেন। অভিযোগপত্রে অষ্টম অভিযুক্ত হলেন বাংলাদেশি নাগরিক রবিল হাসান ওরফে রবিউল হাসান।
এনআইএর তদন্ত অনুসারে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য গোপন উপায়ে ভারতীয় আইডির জাল নথি তৈরিতে জড়িত ছিলেন লিটন চক্রবর্তী।
অন্যদিকে, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিক রবিল হাসানের ভালো যোগাযোগ রয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে এই বিষয়ে একটি নথিভুক্ত মামলায় এনআইএর তদন্ত অনুসারে, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের কম মজুরিতে কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হতো। গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে শোষণ করা হয়েছে পাচারকৃতদের।
আসাম স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি নথিভুক্ত করে।
সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত জুড়ে পরিচালিত মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটের কাজ কঠিন করে তুলতে এনআইএ গত সোমবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গাদের পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় আরও আট অভিযুক্তকে চার্জশিট দিয়েছে।
এনআইএ এর আগে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল।