অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন গত মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার নির্বাসিত তিব্বতি নেতা দালাই লামার প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২০১৬ সালে বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন দালাই লামা। এ বৈঠকের পর গতকাল দালাই লামার প্রতিনিধি এনগোদাপ দংচাংয়ের সঙ্গে ব্লিনকেনের সাক্ষাৎকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্ট্রাল তিব্বেতান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিটিএ) এবং তিব্বতের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা বিভিন্ন গ্রুপ সম্প্রতি নতুন করে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করছে; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এমনটা হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্লিনকেনের সঙ্গে দংচাংয়ের সাক্ষাৎ বেইজিংয়কে বিরক্ত করতে পারে। তবে তারা এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক শেষে দিল্লিতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলাপকালে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বলে মন্তব্য করেছেন ব্লিনকেন।
ব্লিনকেন বলেন, ‘ভারত ও মার্কিন নাগরিকেরা মানবিক মর্যাদা, সুযোগের সমতা, আইনের শাসন, ধর্ম ও বিশ্বাসের মতো মৌলিক স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এগুলোই হচ্ছে আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ভিত্তি।’
ব্লিনকেন বুধবার রাতে কুয়েতের উদ্দেশে দিল্লি ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন। এতে করোনার টিকা, আফগান পরিস্থিতি এবং ভারতের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গর্ব করে থাকলেও মোদির আমলে তা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দেশটির বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানবিরোধী বিভিন্ন নীতি ও রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রতি সমালোচিত হয়েছে বর্তমান শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।