অনলাইন ডেস্ক
ভারতে ৭০ বছর পর গত মার্চে চারটি চিতাশাবকের জন্ম বেশ আলোড়ন ফেলেছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে জন্মের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই চার চিতাশাবকের তিনটিই মারা গেল। দেশটির মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে গত সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আনা একটি মাদী চিতা ওই শাবকগুলোর জন্ম দেয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মৃত্যু হয় দুটি চিতাশাবকের। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) সেখানে একটি শাবক মারা যায়। সেদিনও চারটি শাবককে দেখা গিয়েছিল একসঙ্গে।
ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ২৩ মে চিতাশাবকের মৃত্যুর পর পর্যবেক্ষণ দল মা চিতা ও তার বাকি তিনটি শাবকের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছিল। তিনটি শাবকের অবস্থা ভালো না দেখে চিকিৎসার জন্য উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বন্যপ্রাণী চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় শাবকদের।
তবে দিনের তাপমাত্রা তখন প্রায় ৪৬-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। তাই যথাযথ চিকিৎসা সত্ত্বেও দুটি শাবককে বাঁচানো যায়নি। চতুর্থ শাবকটির অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কুনোতে আটটি নামিবিয়ান চিতা এনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে আবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি চিতা। তবে আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা মোট ২০টি চিতার মধ্যে ১৭টি এখন বেঁচে আছে।
বিশ্বের স্থলভাগের দ্রুততম প্রাণী চিতা। ১৯৫২ সালে ভারতে এই প্রাণীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৭ হাজার চিতার অধিকাংশই আফ্রিকায় পাওয়া যায়। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও বতসোয়ানায়। আর এশীয় চিতা বর্তমানে গুরুতরভাবে বিপন্ন। কেবল ইরানে পাওয়া যায় এই চিতা। সেই সংখ্যাও খুব বেশি নয়। ইরানে মাত্র ৫০টি এশীয় চিতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।