ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেন ভোটাররা। এই নির্বাচনে জয়ের ওপরই নির্ভর করছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক ভাগ্য। মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভবানীপুর থেকে জিততেই হবে মমতাকে। তাই গতকাল বুধবার রাতেও ভবানীপুরের মানুষকে মমতা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে বলেছেন। নন্দীগ্রামে হারের পর কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।
ভোট শুরু হতেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের বুথে ভোট দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বিজেপি এবার অবাঙালি প্রার্থী দেওয়ায় এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। তবে ভোট দিয়ে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেছেন, 'ঠিকমতো ভোট হলে আমরাই জিতব।'
কলকাতা পুর নিগমের আটটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ২৭২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ২৬৯টি এবং নির্বাচনী বুথ রয়েছে ২৮৭টি। প্রতিটি বুথেই মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় আধা সেনা।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর মমতার চেনা আসন। এর আগে বিধানসভা ভোটে ২৫ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন তিনি। এরপর কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ায় মমতাকে বিধায়ক নির্বাচিত করতেই শোভনদেব ইস্তফা দেন। জয় নিয়ে তাই নিশ্চিত তৃণমূল। তবু ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেননি মমতার মূল সেনাপতি, রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মহা নাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
ভবানীপুরের সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। সেখানেও গোলমালের কোনো খবর নেই। তবে সবার নজর আজ ভবানীপুরের দিকেই। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল ৬১.৭৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফল প্রকাশ হবে আগামী ৩ অক্টোবর।