Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > ভারত

হানি ট্র্যাপে ফেঁসেছেন ভারতের অর্ধশত মন্ত্রী, দাবি কর্ণাটকের মন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক

হানি ট্র্যাপে ফেঁসেছেন ভারতের অর্ধশত মন্ত্রী, দাবি কর্ণাটকের মন্ত্রীর
কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এন রাজান্না। ছবি: পিটিআই

কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এন রাজান্না একটি চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। গত মঙ্গলবার বিধানসভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতাসহ ভারতের প্রায় ৪৮ জন বড় রাজনীতিবিদ হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিধানসভায় দেওয়া ভাষণে কে এন রাজান্না বলেন, ‘আমার জানামতে, প্রায় ৪৮ জন নেতা এই সিডি ও পেনড্রাইভের (হানি ট্র্যাপ) শিকার হয়েছেন। এটি শুধু একটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আরও অনেকের সঙ্গে এটা হয়েছে।’

রাজান্না আরও বলেন, ‘কর্ণাটককে বলা হয় হানি ট্র্যাপের কারখানা। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। আমার কাছে তথ্য রয়েছে, তুমকুরুতে দুজন মন্ত্রী হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করবেন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাবেন। তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা রয়েছে? এর সঙ্গে কারা জড়িত? সবকিছু বেরিয়ে আসুক। জনগণ জানুক।’

কে এন রাজান্নার ছেলে আইনসভার সদস্য রাজেন্দ্রও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, ছয় মাস ধরে ভারতের রাজনীতিবিদদের হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘কেবিনেটমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, তদন্ত হওয়া উচিত। আমি মনে করি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটির তদন্ত করবেন।’

কীভাবে মন্ত্রী-এমপিদের হানি ট্র্যাপে ফেলা হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজেন্দ্র বলেন, ‘তারা হোয়াটসঅ্যাপে কল করবে অথবা একটি বার্তা দেবে। ছয় মাস ধরে এটি ঘটছে। আমরা দুই মাস ধরে এই সিন্ডিকেটকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষ হতে দিন। সব জানতে পারবেন।’

গণপূর্তমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সতীশ জারকিহোলি বলেছেন, হানি ট্র্যাপের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। কয়েক ব্যক্তি এটিকে রাজনীতিতে বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এর আগে একজন মন্ত্রীকে দু-দুবার হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি।’

সতীশ জারকিহোলি আরও বলেন, ‘আমরা ওই মন্ত্রীকে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। শুধু একটি অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব কেন এই কার্যকলাপগুলো ঘটছে। যদি তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন, আমরা খুঁজে বের করব, এর পেছনে কারা রয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করব। এটি শুধু আমাদের দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দলেই ঘটে।’

কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বলেন, তিনি এ ধরনের অভিযোগে অবগত নন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে তথ্য চাইবেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিভাগ থেকে কিছু তথ্য চাইব। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কিছু বলেনি। আমি এসব কিছুই জানি না। বিভাগ আমাদের জানালেই আমি জানতে পারব।’

হানি ট্র্যাপ কী

১৯৭৪ সালে ব্রিটিশ-আইরিশ লেখক জন লে ক্যারের ‘টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই’ নামে এক গোয়েন্দা উপন্যাসে প্রথম ‘হানি ট্র্যাপ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় বলে বিভিন্ন লেখাপত্রে পাওয়া যায়।

হানি ট্র্যাপ মূলত একধরনের অপকৌশল। বাংলা অনুবাদে একে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ নামে অভিহিত করা যেতে পারে। সহজ কথায় এটা হলো, যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে ব্লাকমেইল করা। এ ছাড়া যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ সমাধা করে নেওয়ার নামই হানি ট্র্যাপ। তবে নিছক মজা করার জন্য এই ফাঁদ পাতা হয় না, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি—রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এর প্রধান উদ্দেশ্য।

ক্ষমা চাইবেন না রাজনীতিবিদদের আঁতে ঘা দেওয়া ভারতীয় কৌতুকশিল্পী

উত্তর প্রদেশে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা করলেন নববধূ

কৌতুক নিয়ে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি, কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে দেশছাড়া করার হুমকি

থাইল্যান্ডে মোদি-ইউনূস বৈঠক এখনও ভারতের বিবেচনাধীন: জয়শঙ্কর

গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ সফল হলেও ভারত কেন পারছে না, প্রশ্ন আদিত্যনাথের

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত, পরামর্শ দেওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না: জয়শঙ্কর

সামাজিক সূচকে ভারতের কোন রাজ্য কেমন

বিজেপির ১৮ বিধায়ককে বরখাস্ত করে কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বিল পাস

ট্রুডোর বিদায়, এবার ভারত-কানাডা সম্পর্ক কি জোড়া লাগবে

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে আগুন নেভাতে গিয়ে মিলল বিপুল টাকা, বদলির নির্দেশ