হোম > বিশ্ব > ভারত

টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক উদ্ধারে অপেক্ষা বাড়ল  

অনলাইন ডেস্ক

আবারও বাধার মুখে ভারতের উত্তরাখন্ডের টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ধারকাজ। এবার বিপদের মাত্রা একটু বেশিই। কারণ, যে অগার মেশিন দিয়ে ড্রিল করা হচ্ছিল, সেই মেশিনই এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধসের পর পেরিয়ে গেছে ১৩ দিন। 

শুরুর দিন থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে গতকাল উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আর মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটার খুঁড়তে পারলেই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। 

উদ্ধারকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, মাত্র দুই দিনের মধ্যে পরপর দুটি বাধা পাওয়ার বিষয়টি আশা করা হয়নি। দ্বিতীয় বাধাটি এতটাই শক্ত যে, ড্রিলকারী অগার মেশিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অগার মেশিনটি মেরামতের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়। আপাতত উদ্ধারকাজ স্থগিত রয়েছে। 

এদিকে, উদ্ধারকাজ বন্ধ হওয়ার আগে ধসে পড়া অংশে ৪৬ দশমিক ৮ মিটার পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩ মিটার ব্যাসের একটি লোহার পাইপ প্রবেশ করানো হয়। তবে শ্রমিকদের সামনে টানেলে বিধ্বস্ত অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ মিটার। ফলে আরও বেশ কিছু পরিমাণ পথ পাড়ি দিতে হবে পাইপটি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপের মাধ্যমে খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এই পাইপকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ৫৭ মিটার পাড়ি দিতে হয়েছে।

এর আগে টানেল ধসে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে বড় পাইপের মাধ্যমে স্ট্রেচার দিয়ে উদ্ধার করা হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা। পাইপটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলের কাজ চলছে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল। 

উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের হামাগুড়ির মাধ্যমে বের করে আনার বিকল্পও চিন্তা করেছিল। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। কারওয়াল পিটিআইকে বলেন, এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা প্রথমে পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবেন। তারপর একে একে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বের করে আনবেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছাতে অগার মেশিনের মাধ্যমে ড্রিল করার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। একটি পাইপ সম্পূর্ণ বসে গেলে অন্যটি এটিতে ঢালাই করা হয়। এভাবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পথ তৈরি করা হচ্ছে। 

কারওয়াল বলেন, পরবর্তী পাইপটি এখন ঢালাই করা হচ্ছে। আমরা এখন আরও দুটি পাইপ ড্রিল করার পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং প্রশস্তে প্রায় ৩২ ইঞ্চি। এটি শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া পাইপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন স্ট্রেচার চলাচলের পথে কোনো বাধা না পড়ে। পাশাপাশি এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরাও ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছেন।

সাইফকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক বাংলাদেশি, দাবি মুম্বাই পুলিশের

মনু নদীর পাশে ‘বাঁধ দিচ্ছে বাংলাদেশ’, বন্যার আতঙ্কে ত্রিপুরা

ভারতে এয়ার শো উপলক্ষে বেঙ্গালুরুতে মাংস বিক্রি বন্ধ

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায়

মহাসাগরে ‘চীনের আধিপত্য’ ঠেকানোই এখন ভারতের মূল অগ্রাধিকার: রাজনাথ সিং

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নিহত ১২ ও নিখোঁজ ১৬ ভারতীয়, জানাল মোদি সরকার

হোয়াইট হাউস আক্রমণের চেষ্টা: ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাৎসি যুবকের ৮ বছরের জেল

ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ে ১২ মাওবাদী নিহত

কুম্ভমেলার ভাইরাল সাধুরা: আইআইটি বাবা থেকে অ্যাম্বাসেডর বাবা

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের ঘোষণার পরপরই আদানির শেয়ারে ব্যাপক উল্লম্ফন

সেকশন