ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাও আছেন, তিনি মেজর পদমর্যাদার। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় বন্দুকযুদ্ধে ওই চার সেনা নিহত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আরও চার সেনা ও একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। ডোডা জেলার দেসা বনে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দলের যৌথ অভিযান ডোডার দেসা বনাঞ্চলে শুরু হয়। সেই অভিযানেই এই চারজন নিহত হন।
ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র গতকাল সোমবার বলেছেন, ‘আজ (সোমবার) রাতে প্রায় ৯টার দিকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ভারী গোলাগুলি হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, আমরা আমাদের বীর জওয়ানদের আহত হওয়ার খবর পাই।’ তিনি জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয় ডোডার উত্তরের সাধারণ এলাকায়। এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, গত ৮ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরও পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়। কাঠুয়া জেলার বাদনোতা গ্রামের জেন্দা নাল্লাহ নামক একটি স্থানে ওই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ভারতীয় সেনাদের বহনকারী একটি গাড়িবহরকে অ্যামবুশে ফেলে আক্রমণ চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তার আগে গত ৬ ও ৭ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে ছয় সন্ত্রাসী এবং দুই সেনাসদস্য নিহত হন। তারও আগে ২৯ জুন সকালে রাজৌরিতে হামলায় এক সেনাসদস্য আহত হন। তারও আগে ১১ ও ১২ জুন জোড়া সংঘর্ষে দুই সন্ত্রাসী ও এক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত এবং ছয় নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। ২৭ জুন ডোডায় তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। ধারণা করা হয়, এই তিনজনের কেউই জম্মু-কাশ্মীরের নয়। তার আগে ৯ জুন সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় ৯ জন তীর্থযাত্রী নিহত হন।