অনলাইন ডেস্ক
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও উপমহাদেশে ভারত ক্রমেই ‘গুন্ডা’ হয়ে উঠছে কি না—এমনই এক প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্করের কাছে। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘বড় গুন্ডারা কখনোই প্রতিবেশী দেশগুলো বিপদে পড়লে ৪৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেয় না।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর এই কথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের এই অংশে ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যা ঘটছে সে বিষয়ে একটি বড় পরিবর্তন আছে। যখন আপনি অভিযোগ করবেন যে, ভারতকে বড় গুন্ডা হিসেবে বিবেচনা করা হয়—তখন আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, বড় গুন্ডারা কখনোই প্রতিবেশী দেশগুলো বিপদে পড়লে ৪৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেয় না।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘বড় গুন্ডারা কোভিড-১৯ চলার সময় অন্য দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে যেসব দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল সেসব দেশে খাদ্য, জ্বালানি বা সার সরবরাহ করার জন্য নিজে দেশের আইনও বদলায় না।’
বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা বিবেচনায় নিতে বলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আজ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে তা আজ আপনাকে আমলে নিতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও নেপালের বিষয়টি আমলে নিতে হবে। আমি বলতে চাই, আপনার (প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের) পাওয়ার গ্রিড আছে, সড়ক যোগাযোগ আছে, যা এক যুগ আগেও ছিল না। এক দশক আগে রেল যোগাযোগও ছিল না। এ ছাড়া জলপথের ব্যবহারের বিষয়টিও আছে। ভারতীয় ব্যবসায়গুলো বাংলাদেশের বন্দরগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটির জাতীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে ও উন্নত করতে ভারতের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটনে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, শুধু নেপাল বা বাংলাদেশের সঙ্গে নয় পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গেও বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ সময় তিনি ভুটানকেও ভারতের ধারাবাহিক সহযোগী বলে উল্লেখ করেন।