ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের মধ্যকার সংযোগ সেতুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, ফেনী নদীর ওপর গড়ে ওঠা এই সেতু দুই দেশ তো বটেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সংযোগ উন্মুক্ত করবে।
মৈত্রী সেতুর প্রশংসা করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দুনিয়ার বহু দেশের সঙ্গেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে সেতুবন্ধনের কাজ করবে এই সেতু।’ তাঁর মতে ভারতের সমগ্র উত্তর–পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হয়ে উঠছে সাবরুম।
ত্রিপুরায় দুদিনের সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে যান ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর আগে ত্রিপুরায় বেশ কয়েকটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মু আগরতলা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী একটি ট্রেন ও ত্রিপুরর পার্শ্ববর্তী রাজ্যে মণিপুরেরও দুটি ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। তার আগে, গতকাল বুধবার তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় ত্রিপুরায়। সেখানেই তিনি ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী সেতুর প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই সেতুর কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি সুবিধা হবে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে। এই অঞ্চলের মানুষ যেমন কম খরচে ভারতের অন্যান্য অঞ্চল বা বিদেশ থেকে সরাসরি পণ্য আনতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশেরও পরিবহন শিল্পে ব্যাপক উন্নতি হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা।